চুল পড়া রোধে চার খাবার

ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবারঃ তারকা ও অন্যান্য সাধারণের মতই প্রেম-ভালোবাসায় বুঁদ হয়েই এক ছাদের নিচে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাপ্পা মজুমদার ও মেহবুবা মাহনুর চাঁদনী। একজন খ্যাতিমান সঙ্গীত শিল্পী আর একজন জনপ্রিয় নৃত্য শিল্পী ও অভিনেত্রী। কিন্তু দুই তারকার সংসারটা সুখের শেষ হয়নি।তাই অবশেষে ভেঙেই গেল বাপ্পা মজুমদার ও মেহবুবা মাহনুর চাঁদনীর সাজানো সংসার। বিচ্ছেদের ঘুণপোকা চূড়ান্ত ভাবে খেয়ে দিয়েছে ভালোবাসার স্তম্ভ। উল্লেখ্য ২০০৮ সালের ২১ মার্চ ধানমন্ডির ২৭ সিয়ার্স রেস্টুরেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে বাপ্পা মজুমদার ও চাঁদনীর বাগদান হয়। বাপ্পা ও চাঁদনী ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের হলেও বাগদানের আগেই বাপ্পা ধর্মান্তরিত হয়ে আহমেদ বাপ্পা মজুমদার হন। দুই পরিবারের সম্মতিতেই এই বাগদান সম্পন্ন হয়। পরে তাদের দুই পরিবার একসাথ হয়ে ঘরোয়াভাবে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।
এই দম্পতির বিচ্ছেদের খবর বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এবার বাপ্পা নিজেই জানিয়ে দিলেন, ‘ আমরা এখন আলাদা থাকছি।’ এমনকি ফেসবুকে রিলেশন স্ট্যাটাসটাও পাল্টে নিয়েছেন দুজন। সরিয়ে ফেলছেন একে অন্যের ছবি। আর এমন গুজবে মুখ খুললেন মেহবুবা মাহনুর চাঁদনী। দাম্পত্য জীবন নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি কিছু বলতে পারব না। কারণ যা করার তিনি করবেন, যা বলার তিনি বলবেন। আমি কিছু বলব না। আমি বিয়ে করেছি সংসার করার জন্য, এরপর যা হবে তা তিনিই জানেন।
আলাদা থাকছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,’ আমি এগুলো নিয়ে কী বলব? এসব বিষয় নিয়ে নিজেই দ্বিধায় পড়ে গেছি। সংসার করার জন্য আমি মাঝে নাটকে অভিনয় করা ছেড়ে দিলাম। চার বছর কাজ করিনি। তখন থেকে শুনতেছি ডিভোর্স হচ্ছে, ডিভোর্স হচ্ছে। এ নিয়ে বেশ কিছু পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। এরকম অনেক কিছু আমার লাইফে ঘটেছে। ২০১১-১২ সালের দিকে অনেক সাংবাদিক ফোন করে জিজ্ঞেস করেছেন- আপনি কই? শুনলাম ডিভোর্স হয়ে গেছে! কথা শুনে আমি তো অবাক! অথচ তখন আমাদের কিছুই হয়নি। আসলে আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। যা জানার বাপ্পার কাছ থেকেই জেনে নিন। তার সম্মানের জন্য আগেও চুপ ছিলাম, এখনো আছি।
বিয়ের পেছনের গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে আমরা বিয়ে করি। বিয়ের আগে আমার মায়ের পা ধরে বাপ্পা মজুমদার তিন ঘণ্টা বসেছিলেন। মায়ের প্রতি যার এতটা সম্মান সেটা দেখে আমি মুগ্ধ হই। কারণ যে ছেলে মায়ের পা ধরে বসে থাকতে পারে, সে নিশ্চয় তার স্ত্রীকে সম্মান করবেন, ভালোবাসবেন সেটাই স্বাভাবিক। তারপর তিনি একদিন আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। বললেন, ‘কাউকে না কাউকে তো বিয়ে করবে, তবে আমাকে বিয়ে করলে তোমার ক্ষতি কি?’ আমি বললাম, ‘যদি আপনি আমার বাবা-মাকে রাজি করাতে পারেন তবে আমার কোনো আপত্তি নেই।’ তারপর পরিবারের সম্মতিতেই আমাদের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা আকস্মিক ঘটে। কারণ পরিবার থেকে বিয়ের আয়োজন যেদিন করা হয় তার আগের দিনও আমি শুটিংয়ে ছিলাম। অভিনেতা গাজী রাকায়েত ভাইও আমার সঙ্গে শুটিংয়ে ছিলেন। তিনিও এসব জানেন। আমি বাপ্পার বাবাকে দেখিনি। তার মাকে দেখেছি। বাপ্পার মায়ের জন্য আজ পর্যন্ত আমি স্তব্ধ। আমার শ্বাশুরিকে ভালোবাসি। তাকে সম্মান করি। আর সঞ্জীবদা বেঁচে থাকলে আমার লাইফটা হয়তো আজ এমন হতো না।
সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নূরু